সোনার নেশায় ছুটছে গোটা বিশ্ব! কেন ২৩টি দেশ একসঙ্গে কিনছে বিপুল সোনা, যা ইতিহাসে আগে হয়নি? – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ

এ বছর সোনার দামে যে তীব্র উল্লম্ফন দেখা গেছে, তার অন্যতম প্রধান কারণ হলো বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর স্বর্ণ কেনার হিড়িক। এই ব্যাংকগুলো চলতি বছরেই ৮৩০ টনেরও বেশি সোনা কিনেছে।

বিশেষ করে এই বছরের প্রথমার্ধে ২৩টি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের সোনার ভাণ্ডার বাড়িয়েছে। গত তিন বছর ধরে এই ব্যাংকগুলো প্রতি বছর ১,০০০ টনেরও বেশি সোনা কিনেছে, যা এক নজিরবিহীন ঘটনা। এই নিয়ে টানা ১৬ বছর কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সোনা কিনে চলেছে। এর আগে এত দীর্ঘ সময় ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সোনা কেনা বা মজুত করার কোনো রেকর্ড নেই। উল্লেখ্য, ২০১০ সালের আগে টানা ২১ বছর ধরে এই ব্যাংকগুলো বরং সোনা বিক্রি করেছিল।

২০১৭ সালের পর থেকে বেশিরভাগ দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে মার্কিন ডলারের অংশীদারিত্ব উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে এনেছে। অন্যদিকে, ভারতে বর্তমানে মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে সোনার অংশীদারিত্ব প্রায় ১৫ শতাংশে পৌঁছেছে। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সর্বোচ্চ পরিমাণে সোনার রিজার্ভ রয়েছে, যার পরিমাণ ৮,১৩৩.৫ টন, যা তাদের মোট বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারের ৭৮.৭ শতাংশ। এরপরে রয়েছে জার্মানি (৩,৩৫.৩ টন), ইতালি (২,৪৫১.৮ টন), ফ্রান্স (২,৪৩৭ টন), রাশিয়া (২,৩২৬.৫ টন), চীন (২,৩০২.৩ টন), সুইজারল্যান্ড (১,০৩৯.৯ টন), ভারত (৮৮০ টন), জাপান (৮৪৬ টন) এবং তুরস্ক (৬৩৯ টন)।

ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জার্মানির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে সোনার অংশীদারিত্ব ২০১৭ সালের আগস্ট মাসের ৬৯.৬ শতাংশ থেকে বেড়ে এখন ৭৮.৬ শতাংশ হয়েছে। একই সময়ে জার্মানির বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারে ইউএস ট্রেজারি বিলের অংশীদারিত্ব উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। ২০১৭ সালের আগস্টে এর পরিমাণ ছিল ৪২৭.১ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৫ সালের জুলাইয়ে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১০৭.৭ বিলিয়ন ডলার। ইতালি, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন, সুইজারল্যান্ড, ভারত, জাপান এবং তুরস্কের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও সোনার অংশীদারিত্ব ২০১৭ সালের পর থেকে উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বৈশ্বিক অর্থনীতিতে এক বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *