৫টি কক্ষ, ঘণ্টায় ৫০০ টাকা… আগ্রার ‘দ্য হেভেন’ হোটেলের সত্যতা কী, কেন প্রতিদিন সেখানে যুবক-যুবতীরা যেত? – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ

আগ্রা: উত্তরপ্রদেশের আগ্রায় মঙ্গলবার দুপুরে এক তরুণীর বহুতল থেকে নিচে পড়ে যাওয়ার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করতেই এই ঘটনাকে ঘিরে সন্দেহ দানা বাঁধছে। প্রশ্ন উঠছে, আগ্রার শাস্ত্রিপুরমের ‘দ্য হেভেন’ হোটেলে এমন কী চলছিল যার জেরে এমন দুর্ঘটনা? প্রাথমিক তদন্তে এই হোটেলে ‘দেহ ব্যবসা’ চলার আশঙ্কা করছে পুলিশ।

একটি সংবাদ প্রতিবেদন অনুসারে, পাঁচ কামরার এই হোটেলটিতে মাত্র ₹৫০০ প্রতি ঘণ্টার হিসেবে ঘর ভাড়া দেওয়া হত। এখানে একটি ছোট পার্টি হলও রয়েছে। ঘটনার সময় হোটেলের তিনটি ঘর খোলা পাওয়া যায়। ঘরের পরিস্থিতি দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল, কিছু সময় আগেও সেখানে লোকজনের আনাগোনা ছিল। ঘরের মধ্যে এলোমেলোভাবে পড়েছিল জিনিসপত্র, বেলুন, বিছানার চাদর ও চাবি। একটি ঘরের দেওয়ালে ‘হ্যাপি বার্থডে’ লেখা ছিল, যা দেখে মনে করা হচ্ছে সেখানে কোনও পার্টি চলছিল।

কেন ঘটল এই পতন?

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে আচমকা হোটেলে পুলিশি হানার গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এতেই আতঙ্কিত হয়ে ওই তরুণী তাঁর সঙ্গীর সঙ্গে ঘর থেকে বেরিয়ে দ্রুত পালাতে যান। তিনি ছাদের কিনারে থাকা একটি ডাস্ট বা ডেক্ট-এর মধ্যে লুকিয়ে থাকার চেষ্টা করলে দুর্বল কাঠামো ভেঙে প্রায় ১৮ ফুট নিচে পড়ে যান। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়দের দাবি, সেসময় তরুণীর পোশাকও ছিল অসংলগ্ন।

কর্মী ও অতিথিরা সবাই পলাতক

ঘটনার পরে হোটেলের ম্যানেজার, কর্মী এবং সেখানে উপস্থিত তরুণীর সঙ্গী-সহ অন্যান্য অতিথিরাও সেখান থেকে পালিয়ে যান। তিনটি খোলা ঘরে বিছানা এলোমেলো ও জিনিসপত্র ছড়ানো ছিটানো থাকায় স্পষ্ট হয়, আতঙ্কিত হয়ে সবাই পালাতে চেয়েছিল। স্থানীয়দের অভিযোগ, যদি হোটেলে সব কিছুই ঠিক থাকত, তবে হঠাৎ সবাই কেন পালাল এবং কর্মীরা কেন হোটেল বন্ধ করল না?

সন্দেহের কেন্দ্রে ‘দ্য হেভেন’

আশপাশের বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, এই হোটেলে কোনও পরিচয়পত্র ছাড়াই ঘর ভাড়া দেওয়া হত। দিনভর এখানে বহু যুবক-যুবতীর যাতায়াত ছিল। তাদের দাবি, হোটেলে দীর্ঘদিন ধরেই অবৈধ কার্যকলাপ চলছিল। ঘটনার পর পুলিশ হোটেলটির মালিক সন্তোষ রাজপুতকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের কোনও তল্লাশির পরিকল্পনা ছিল না। তরুণীর পড়ে যাওয়ার খবর পেয়েই তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *