বাঙালির পাতে ‘ঘি’ ছাড়া আসাম্পূর্ণ! কিন্তু এর ইংরেজি নামটা চট করে বলতে পারবেন কি? – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ

বাঙালির খাদ্যাভ্যাসে ঘি এক অতি পরিচিত ও অবিচ্ছেদ্য অংশ। ফেনাঝাড়া গরম ভাত থেকে শুরু করে লুচির মতো বিশেষ পদ—অনেক খাবারই একসময় ঘি ছাড়া ভাবা যেত না। এর ইতিহাস সুপ্রাচীন; চতুর্দশ শতকের প্রাকৃতপৈঙ্গল-এর মতো গ্রন্থেও গাওয়া ঘিয়ের উল্লেখ পাওয়া যায়। প্রাচীন ভারতে উদ্ভূত এই খাদ্যদ্রব্যটি কেবল রান্নার উপাদান ছিল না, এটি ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানেও একটি পবিত্র নৈবেদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এমনকি সংস্কৃত শব্দ ‘ঘৃত’ থেকে ‘ঘি’ শব্দের উৎপত্তি, যার অর্থ ‘শুদ্ধ’। এত পরিচিত হওয়া সত্ত্বেও অনেকেই হয়তো জানেন না যে এই সাধের জিনিসটিকে ইংরেজিতে কী বলা হয়।

আসলে, ঘি-কে ইংরেজিতে ক্ল্যারিফায়েড বাটার বলা হয়। মাখনকে জাল দিয়ে তার জলীয় অংশ এবং দুধের কঠিন পদার্থগুলি সরিয়ে দিলেই যে খাঁটি সোনালী চর্বি পাওয়া যায়, সেটাই হল ঘি। এটি মাখনের চেয়েও বিশুদ্ধ ও স্বাস্থ্যকর একটি রূপ। মাখনে ল্যাকটোজ বা কেসিন থাকলেও ঘি-তে তা থাকে না, ফলে যাঁদের দুগ্ধজাত পণ্য সহ্য হয় না, তাঁদের জন্যও ঘি আদর্শ। এটি ভিটামিন এ, ই এবং কে-তে ভরপুর। আয়ুর্বেদ অনুসারে, এটি হজমে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না ও ভাজার জন্য ঘি মাখনের চেয়ে অনেক বেশি উপযুক্ত।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *