যৌবনে নিউরো ডাইভার্সিটি লাঞ্ছনা নাকি সঙ্গীর অভাব বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের জীবন রহস্য – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ
সমাজে নিউরো-ডাইভারসিটি বা বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন (অটিজম, ইডিএইচডি, সেরিব্রাল পলসি ইত্যাদি) শিশুরা অন্যদের মতোই স্বপ্ন দেখলেও তাদের বেড়ে ওঠার গল্প ভিন্ন, যা কৈশোরে আরও সংবেদনশীল মোড় নেয়। এই সময়ে, ১৫-১৬ বছর পেরোলেই তাদের মধ্যে আচরণগত পরিবর্তন আসে, যা পরিবার ও শিক্ষকদের কাছে প্রায়শই অচেনা। তাদের অতিমাত্রায় সঠিক সঙ্গীর অভাব এই পরিবর্তনের অন্যতম কারণ, যা সামাজিক অবমূল্যায়ন ও একাকীত্বের দিকে ঠেলে দেয়। এই সঙ্গীর অভাব বিশেষ করে ছেলেদের মধ্যে আক্রমণাত্মক বা অতি সংবেদনশীল আচরণের জন্ম দেয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই সূক্ষ্ম সেতুবন্ধনের সময় পরিবার, শিক্ষক ও সমাজের বোঝাপড়া ও সহানুভূতি অত্যন্ত জরুরি।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক যশোধরা চৌধুরী এবং মনোরোগ বিশেষজ্ঞ রঞ্জন ভট্টাচার্য এই প্রসঙ্গে মত দেন যে, নিউরো-ডাইভার্স মানুষদের জন্য ‘সোশ্যাল মডেল’ এবং সামাজিক সচেতনতা অত্যাবশ্যক। তাঁরা কর্মজীবনে সফল হলেও সঙ্গী না পাওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছেন এবং লাঞ্ছিত হচ্ছেন। ডা. রঞ্জন ভট্টাচার্যের মতে, এই মানুষগুলোর প্রেম ও সম্পর্কের দায়বদ্ধতা অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি গভীর হয়, কিন্তু তারা প্রায় তিনগুণ বেশি মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন। শিক্ষাবিদদের মতে, এই শিশুদের যৌন উত্তেজনাকে অবদমিত না করে, পরিবারকে সঠিক সময়ে শিক্ষামূলক পাঠ দেওয়া এবং নিজেদের আবেগ প্রকাশের জন্য একটি গোপন ব্যবস্থা করা উচিত, যাতে তারা সমাজে সুস্থ জীবনযাপন করতে পারে।