ট্রাম্পকে ভয় পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী… ২৫০% শুল্ক আরোপের হুমকি যুদ্ধ থামাবে, বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ রাহুল গান্ধীর – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক এক বিতর্কিত মন্তব্য ঘিরে ভারতের রাজনীতিতে নতুন করে ঝড় উঠেছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় দেওয়া এক বক্তৃতায় ট্রাম্প দাবি করেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি তাঁর মধ্যস্থতাতেই সম্ভব হয়েছে। এই মন্তব্যের পরই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দিকে সরাসরি আঙুল তুলেছেন।

রাহুল গান্ধীর বিস্ফোরক অভিযোগ, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভয় পান এবং দেশের সম্মান রক্ষা করতে পারেননি।”

‘ট্রাম্পকে জবাব দেওয়ার সাহস নেই প্রধানমন্ত্রীর’

বিহারের দ্বারভাঙ্গায় এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাহুল গান্ধী আরও বলেন, “ট্রাম্প বারবার বলেছেন, তিনি নাকি ব্যবসার নাম করে মোদীকে ভয় দেখিয়ে ‘অপারেশন সিঁদুর’ বন্ধ করিয়েছেন। তিনি এ-ও বলেছেন যে ভারতের ৭টি বিমান ধ্বংস করা হয়েছিল। ট্রাম্প এই দাবি ৫০ বারেরও বেশি করেছেন, কিন্তু মোদীজির মুখ থেকে একটা শব্দও বের হয়নি।” রাহুল আরও কঠোরভাবে বলেন, যে প্রধানমন্ত্রী নিজের দেশের সেনা ও বিমানবাহিনীর বিরুদ্ধে ওঠা গুরুতর অভিযোগের বিষয়ে নীরব থাকেন, তিনি বিহার বা দেশের উন্নয়ন করতে পারেন না।

রাহুল গান্ধীর প্রকাশ্য চ্যালেঞ্জ

কংগ্রেস নেতা ১৯৭১ সালের যুদ্ধের উদাহরণ টেনে বলেন, “যখন ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন—ভারত তার সিদ্ধান্ত নিজে নেবে। আর আজ ট্রাম্প প্রকাশ্যে আমাদের সেনাবাহিনী নিয়ে মন্তব্য করছেন, আর মোদীজি চুপ। আমি প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি—যদি তাঁর সাহস থাকে, তবে তিনি বিহারে এসে বলুন যে ডোনাল্ড ট্রাম্প মিথ্যা বলছেন। কিন্তু তিনি তা বলতে পারবেন না।”

২৫০% শুল্কের হুঁশিয়ারিতে যুদ্ধ থামে?

দক্ষিণ কোরিয়ায় নিজের ভাষণে ট্রাম্প আরও দাবি করেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যখন উত্তেজনা চরমে ছিল, তখন “দুই দেশই আমার কথা শুনতে অস্বীকার করছিল। তখন আমি তাদের ওপর ২৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর হুমকি দিই। এরপরই তারা যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়।” ট্রাম্পের এই চাঞ্চল্যকর মন্তব্যের পর থেকেই ভারতীয় রাজনীতিতে প্রবল আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এখন সবার নজর, প্রধানমন্ত্রী মোদী এই বিষয়ে কোনও উত্তর দেন কিনা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *