ভারত-মার্কিন বাণিজ্য চুক্তি: ভারত-মার্কিন বাণিজ্য চুক্তি অনুমোদিত! এই ৬টি খাতে বিনিয়োগ করলে ভালো রিটার্ন পাওয়া যাবে – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ
খুশির খবর ভারতীয় শেয়ার বাজারের জন্য! আগামী নভেম্বর ২০২৫ সাল থেকে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য চুক্তি কার্যকর হতে পারে বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। এই ঘোষণার পর থেকেই ভারতীয় শেয়ার বাজারে বড় ধরনের অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই চুক্তি ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে ভারতীয় পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে আমেরিকায় ৫০ শতাংশের বিশাল শুল্ক (ট্যারিফ) দিতে হয়। এই চুক্তি কার্যকর হলে সেই শুল্কের হার কমে প্রায় ১৫ শতাংশে নেমে আসতে পারে। যার ফলে, আমেরিকান বাজারে ভারতীয় পণ্য অনেক সহজে ও কম খরচে প্রতিযোগিতা করতে পারবে।
আমেরিকার চেয়েও বেশি বাণিজ্য ভারতের
ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে বছরে প্রায় ১২৫ বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা হয়। এর মধ্যে আমেরিকা যা আমদানি করে, তার তুলনায় ভারত অনেক বেশি পণ্য রপ্তানি করে। অর্থাৎ, এই বাণিজ্যে বর্তমানে আমেরিকা একটি বড় বাণিজ্যিক ঘাটতি (ট্রেড ডেফিসিট) সহ্য করছে। যদিও সেই ঘাটতি কমানোর লক্ষ্যেই সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সারা বিশ্বের দেশগুলির ওপর শুল্ক চাপিয়েছিলেন।
কোথায় বিনিয়োগে লাভের সম্ভাবনা?
চুক্তির খবর সামনে আসার পর থেকেই কয়েকটি নির্দিষ্ট সেক্টরের শেয়ারে ৫ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত দ্রুত বৃদ্ধি দেখা গেছে। বাজার বিশ্লেষকদের ধারণা, এই বাণিজ্য চুক্তি নিম্নলিখিত ৬টি সেক্টরকে সবচেয়ে বেশি সুবিধা দেবে এবং এই খাতগুলিতে বিনিয়োগকারীদের জন্য চমকপ্রদ রিটার্ন আসতে পারে।
১. টেক্সটাইল (বস্ত্র): এই চুক্তির সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী হবে বস্ত্র শিল্প। কারণ আমেরিকার মোট বস্ত্র আমদানির প্রায় ৪০ শতাংশ আসে ভারত থেকে।
২. অটো পার্টস: গাড়ি বা মোটরগাড়ির যন্ত্রাংশ রপ্তানিকারী সংস্থাগুলিও এই চুক্তির ফলে বিপুল সুবিধা পাবে।
৩. রত্ন ও গয়না: আমেরিকা যাদের কাছে রত্ন ও গয়না (জেমস অ্যান্ড জুয়েলারি) রপ্তানি করে, সেই সংস্থাগুলির ব্যবসার পরিমাণ বাড়বে।
৪. সি-ফুড ও চিংড়ি: আমেরিকার মোট সি-ফুড ও চিংড়ি আমদানির প্রায় ৫০ থেকে ৬০ শতাংশই আসে ভারত থেকে। শুল্ক কমলে এই রপ্তানি আরও দ্রুত বাড়বে।
৫. শক্তি ও তেল (Energy and Oil): কেবল রপ্তানি নয়, আমেরিকা থেকে পণ্য আমদানি করা ভারতীয় সংস্থাগুলিও উপকৃত হবে। বিশেষত, যে ভারতীয় তেল ও শক্তি সংস্থাগুলি আমেরিকা থেকে আমদানি বাড়িয়েছে, তাদের স্টকেও গতি আসতে পারে।
৬. স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম: এই সেক্টরের ওপর শুল্ক কমলে আমেরিকায় এই পণ্যগুলির রপ্তানি বড় আকারের লাফ দিতে পারে।