কার্তিক মাসের পূর্ণিমা তিথি জ্যোতিষশাস্ত্র মতে অত্যন্ত শক্তিশালী ও তাৎপর্যপূর্ণ। আসছে নভেম্বর মাসের এই পূর্ণিমা তিথিকে ঘিরে রয়েছে বিশেষ যোগ ও বিশ্বাস, যা জীবনে সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধি আনতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

জ্যোতিষ মতে, এই বছরের কার্তিক পূর্ণিমা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই দিনে একাধিক শুভ যোগ তৈরি হচ্ছে। কার্তিক পূর্ণিমার তিথি শুরু হচ্ছে নভেম্বর ৪ তারিখ রাত ১০টা ৩৬ মিনিটে এবং শেষ হচ্ছে নভেম্বর ৫ তারিখ ভোর ৬টা ৪৮ মিনিটে। অর্থাৎ, ৫ই নভেম্বর সারাদিন ধরেই পূর্ণিমার পূজা ও আচার-অনুষ্ঠান পালনের সুযোগ থাকছে।

তিন দেব-দেবীর আশীর্বাদ ও শুভ যোগ

পণ্ডিতদের মতে, এই তিথিটি স্বয়ং শ্রীহরি (বিষ্ণু), মহাদেব (শিব) এবং দেবী লক্ষ্মী এই তিন দেব-দেবীরই কৃপা লাভের দিন। প্রাচীন বিশ্বাস অনুসারে, এই দিনে দেবতারা গঙ্গা স্নানের জন্য পৃথিবীতে নেমে আসেন।

এইবার কার্তিক পূর্ণিমায় তিনটি অত্যন্ত শুভ যোগের সমন্বয় ঘটছে— সর্বসিদ্ধি যোগ, অমৃত সিদ্ধি যোগ এবং অশ্বিনী নক্ষত্র। এই বিশেষ যোগের কারণে দিনটিকে অত্যন্ত পবিত্র ও ফলদায়ক বলে মনে করা হচ্ছে। বিশ্বাস করা হয়, এই সময়ে করা পূজা-অর্চনায় মনের সব ইচ্ছা পূরণ হয়।

ঋণমুক্তি ও ধন-সম্পদ লাভের উপায়

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৫ই নভেম্বর কার্তিক পূর্ণিমার দিনে কিছু বিশেষ কাজ করলে জীবনে ধন-সম্পদের আগমন ঘটতে পারে।

• শিব মন্দিরে প্রদীপ দান: যারা এদিন শিব মন্দিরে গিয়ে প্রদীপ জ্বালান, তাদের মনের সব গোপন মনস্কামনা পূরণ হয়।
• লক্ষ্মী দেবীর আরাধনা: যারা পূর্ণিমার এই দিনে শুদ্ধ মনে দেবী লক্ষ্মীর পূজা করেন, তাদের ওপর দেবীর বিশেষ কৃপা বর্ষিত হয়। এর ফলে দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা ঋণ সমস্যা দূর হয় এবং গৃহে অর্থের বর্ষণ বা প্রচুর ধন-সম্পদ লাভ হয়।