পেটের সমস্যা? এই ফল খেলেই কিন্তু মহাবিপদ! কাদের জাম খাওয়া একেবারেই বারণ, জানলে চমকে উঠবেন – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ

স্বাদে মিষ্টি, দামে সস্তা আর পুষ্টিগুণে ভরপুর—পেয়ারা বা জামকে (Guava) বলা হয় ‘সুপারফুড’। সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ফাইবার, প্রোটিন, আয়রন এবং প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফল হজম সমস্যা কমাতে এবং শারীরিক দুর্বলতা দূর করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষতিকারক কোষের বিরুদ্ধে শরীরকে সুরক্ষা দেয়।

তবে স্বাস্থ্যের জন্য এত উপকারী হওয়া সত্ত্বেও, পেয়ারা বা জাম কিন্তু কিছু মানুষের জন্য উপকারের বদলে মারাত্মক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন কিছু শারীরিক অবস্থা রয়েছে, যখন জাম খাওয়া একেবারেই এড়িয়ে চলা উচিত। না হলে উপকারের বদলে অসুস্থতা বাড়তে পারে।

কারা খাবেন না জাম?

  • অ্যালার্জি রয়েছে যাঁদের: পেয়ারা খেলে যদি ত্বকে ফুসকুড়ি, চুলকানি, ফুলে যাওয়া বা শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, তবে এই ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। অ্যালার্জির প্রবণতা থাকলে জাম আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
  • হজমের সমস্যা: গ্যাস, পেট ফাঁপা, ডায়রিয়া, বুকজ্বালা বা বদহজমের মতো সমস্যায় ভুগলে জাম খাওয়া উচিত নয়। জামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ফ্রুক্টোজ থাকে, যা হজম সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। এছাড়াও, এর বীজ এবং ফাইবার পরিপাকতন্ত্রের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে।
  • ঠান্ডা লাগার প্রবণতা: পেয়ারার একটি স্বাভাবিক শীতল প্রকৃতি রয়েছে। ফলে শীতকালে বা ঠান্ডা লাগার ধাত থাকলে অতিরিক্ত জাম খেলে গলা ব্যথা, সর্দি ও কাশির সমস্যা বাড়তে পারে।
  • রক্তে শর্করা কম থাকলে: পেয়ারার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ায় এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো। কিন্তু যাঁদের রক্তে শর্করার মাত্রা ইতিমধ্যেই কম, তাঁদের জাম খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। এছাড়াও, যাঁরা ব্লাড সুগার কমানোর ওষুধ খান, তাঁদের পেয়ারা খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
  • অস্ত্রোপচারের পরে: কোনও রকম অস্ত্রোপচার বা সার্জারির ঠিক পরে পেয়ারা খাওয়া এড়িয়ে চলুন। কারণ এই ফল খেলে রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়তে পারে এবং ক্ষত শুকাতে দেরি হতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *