সোনার খনি: ৬০ লক্ষ কোটি টাকার সোনার গুপ্তধনের সন্ধান.. ভারত কি জ্যাকপট পাবে? – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ
স্বর্ণ কেবল একটি ধাতু নয়, এটি ভারতের সংস্কৃতি, সম্পদ এবং নিরাপত্তার প্রতীক। ভারতীয়দের জীবনে সোনার গুরুত্ব অপরিসীম হলেও, বিশ্বজুড়ে মোট সোনার মজুদের নিরিখে আমাদের দেশ এখনও পিছিয়ে। তবে এখন যে দুর্দান্ত সুযোগটি সামনে আসছে, তাকে বিশেষজ্ঞরা ভারতের জন্য এক বিশাল ‘জ্যাকপট’ হিসেবে দেখছেন।
বিশ্বের ভূগর্ভে আনুমানিক ২,৪৪,০০০ মেট্রিক টন সোনা রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। এর মধ্যে এখনো পর্যন্ত খনন করে মাত্র ১,৮৭,০০০ মেট্রিক টন সোনা উত্তোলন করা সম্ভব হয়েছে। অর্থাৎ, আরও প্রায় ৫৭,০০০ মেট্রিক টন বিপুল পরিমাণ মূল্যবান সোনা মাটির গভীরে লুকিয়ে আছে।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অচিহ্নিত সোনার খনিগুলি কোথায়?
বিশ্বের যে দেশগুলিতে এখনও উত্তোলন না হওয়া সোনার সবচেয়ে বেশি ভান্ডার রয়েছে, তার শীর্ষে রয়েছে কয়েকটি দেশ:
- অস্ট্রেলিয়া: অচিহ্নিত সোনার মজুদের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বে প্রথম স্থানে। এখানকার ভূগর্ভে প্রায় ১২,০০০ মেট্রিক টন সোনা থাকতে পারে বলে অনুমান। এর বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৭২০ বিলিয়ন ডলার, যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬২ লক্ষ কোটি টাকা।
- রাশিয়া: রাশিয়ার মাটির গভীরেও প্রায় অস্ট্রেলিয়ার সমপরিমাণ অর্থাৎ ১২,০০০ মেট্রিক টন বিশাল সোনার ভান্ডার রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
- ইন্দোনেশিয়া: এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। অনুমান করা হয়, এখানে প্রায় ৩,৬০০ মেট্রিক টন সোনার মজুদ রয়েছে।
ভারতের জন্য ‘জ্যাকপট’ কেন?
এই তিনটি দেশ, যেখানে মাটির নিচে বিপুল পরিমাণ সোনার মজুদ রয়েছে, তারা ভবিষ্যতে বিশ্ব অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে। তারা বৈশ্বিক অর্থনীতিতে তাদের প্রভাব আরও বাড়াবে। তবে ভারতের জন্য এখানেই রয়েছে সুসংবাদ। সোনার এই বিশাল ভান্ডারযুক্ত অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া—তিনটি দেশই ভারতের বন্ধু রাষ্ট্র।
শক্তিশালী কূটনৈতিক সম্পর্কের কারণে ভারত এই দেশগুলি থেকে তুলনামূলকভাবে কম দামে বা অনুকূল শর্তে সোনা আমদানি করার সুযোগ পেতে পারে। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এর ফলে দেশের বাজারে সোনার দামের স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে এবং সরবরাহ বাড়বে। সামগ্রিকভাবে এটি ভারতীয় অর্থনীতিকে একটি বড় সুবিধা দেবে। ভারতের সোনাপ্রেমীদের জন্য নিঃসন্দেহে এটি অত্যন্ত আনন্দের খবর।