নীতীশের মুখ ব্যবহার করা হচ্ছে, রিমোট কন্ট্রোল বিজেপির হাতে: রাহুল গান্ধী – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ

কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে নেমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)-র বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন। বুধবার মুজফ্ফরপুরের সাকরায় তাঁর প্রথম নির্বাচনী জনসভায় তিনি বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন যে, মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের মুখকে ব্যবহার করা হচ্ছে, কিন্তু সরকারের আসল রিমোট কন্ট্রোল রয়েছে বিজেপির হাতে

মহাগঠবন্ধনের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)-এর তেজস্বী যাদব সহ অন্যান্য জোট শরিকদের নিয়ে এই সভা করেন রাহুল গান্ধী। সেখানে তিনি দাবি করেন যে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং বিজেপি সামাজিক ন্যায়ের পরিপন্থী।

রাহুল গান্ধী প্রশ্ন তোলেন, “বিহারের সরকার নীতীশ কুমার গত ২০ বছর ধরে চালাচ্ছেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য আর রোজগারের জন্য তিনি কী করেছেন? আপনারা কি এমন রাজ্য চান যেখানে আপনাদের জন্য কিছুই থাকবে না, আর আদানিজিকে এক-দুই টাকায় জমি দিয়ে দেওয়া হবে?”

তিনি বলেন, “আমরা এমন বিহার চাই যেখানে শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং কর্মসংস্থান থাকবে, বিহারের মানুষ নিজেদের ভবিষ্যত দেখতে পাবে। আমরা এমন বিহার দেখতে চাই যেখানে মানুষকে কাজের জন্য অন্য রাজ্যে যেতে হবে না, বরং অন্য রাজ্যের মানুষ এখানে কাজ করতে আসবে।” কংগ্রেস নেতা আরও বলেন, মহাগঠবন্ধন বিহারকে সবার আগে নিয়ে যেতে চায়।

তিনি সরাসরি অভিযোগ করেন, “নীতীশজির মুখের ব্যবহার হচ্ছে, আর রিমোট কন্ট্রোল বিজেপির হাতে।” লোকসভার বিরোধী দলনেতা আরও দাবি করেন, “তিন-চারজন লোক (নীতীশকে) নিয়ন্ত্রণ করে এবং বিজেপির হাতে রিমোট কন্ট্রোল রয়েছে, আর এই লোকগুলির সামাজিক ন্যায় নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই।”

রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী মোদী ও বিজেপির বিরুদ্ধে সামাজিক ন্যায়ের বিরোধিতা করার অভিযোগ পুনর্ব্যক্ত করেন। একই সঙ্গে তিনি দিল্লিতে যমুনার তীরে অনুষ্ঠিত ছট পুজোর প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তিনি বলেন, একদিকে যমুনা নদীতে নোংরা জল ছিল, আর তার পাশেই পরিষ্কার জলের একটি পুকুর তৈরি করা হয়েছিল, যাতে প্রধানমন্ত্রী সেখানে স্নান করে ‘নাটক’ করতে পারেন। তিনি দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রীর ছট পুজো নিয়ে কোনও আগ্রহ নেই। রাহুল গান্ধী বলেন, এই বিষয়টি গোটা দেশে জানাজানি হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী মোদী সেই ছট পুজোর অনুষ্ঠানে যাননি।

তিনি চরম কটাক্ষের সুরে আরও দাবি করেন যে প্রধানমন্ত্রী ভোটের জন্য যে কোনো কিছু করতে পারেন। জনতাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “যদি আপনারা মোদীজিকে বলেন যে আমরা আপনাকে ভোট দেব, আপনি এখানে নাচুন, তাহলে তিনি নাচবেন।”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *