মজার জোকস: মেয়েটি মেসেজে জিজ্ঞেস করল, ‘আমার প্রিয়তমা কি ঘুমিয়ে পড়েছে?’ এমন উত্তর এলো যে তার ঘুম উধাও! – এবেলা

এবেলা ডেস্কঃ

এই আধুনিক যুগে সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্পর্ক তৈরি হওয়া যেমন সাধারণ, তেমনই মজার মজার ঘটনাও ঘটে প্রায়ই। এমনই এক ঘটনায় এক প্রেমিকা গভীর রাতে তার প্রিয় মানুষটিকে একটি কৌতূহলী মেসেজ করেন। কিন্তু এরপরে যা উত্তর আসে, তাতে ঘুম ছুটে যাওয়ার জোগাড়।

গভীর রাতে প্রেমিকের ‘সোনা’ স্ট্যাটাস জানতে চাইল প্রেমিকা

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এক স্ক্রিনশটে দেখা যায়, এক প্রেমিকা রাতে মেসেজ করে তার প্রেমিককে জিজ্ঞেস করেন, ‘সো গেয়া মেরা সোনা?’ (অর্থাৎ, ‘আমার সোনা কি ঘুমিয়ে পড়ল?’)। এই আদুরে প্রশ্নে প্রেমিক তার ঘুম ভাঙার ইঙ্গিত দিতে গিয়ে মজার কাণ্ড ঘটান।

উত্তর এল প্রেমিকের বাবার কাছ থেকে!

মেসেজ পাওয়ার পর ওই প্রেমিক (সোনা) বদলে উত্তর আসে অন্য এক ব্যক্তির কাছ থেকে। মজার ব্যাপার হলো, মেসেজের উত্তরদাতা নিজেকে প্রেমিকের বাবা বলে পরিচয় দেন। তিনি লেখেন, ‘হ্যাঁ…’।

মেয়েটি যখন হতভম্ব হয়ে জিজ্ঞেস করে, ‘বদমাশ! তো তারপর উত্তর কীভাবে দিল আমার সোনা?’, তখন ওপাশ থেকে প্রেমিকের বাবা পরিচয়ে আসা সেই ব্যক্তি আসল ঘটনা ফাঁস করেন।

তিনি লেখেন, “বহুরানি, আমি সোনার বাবা বলছি। কাল সোনার পরীক্ষা আছে। যদি ও ফেল করে, তবে তোর সোনাকে এমন ধোলাই দেব যে ও আর কোথাও ‘শোনার’ (শোয়ার) মতো অবস্থায় থাকবে না!”

এই অপ্রত্যাশিত ও মজার উত্তরে প্রেমিকার রাত্রের ঘুম ছুটে যাওয়ার জোগাড় হয়। নিছক একটি প্রেমের মেসেজের এমন অপ্রত্যাশিত মোড় মন ভালো করে দেয় নেটিজেনদের।

অন্যান্য মজার কাণ্ড

প্রেম-ভালোবাসা বা দৈনন্দিন জীবনের এমন ছোটখাটো মজার মুহূর্ত অনেক সময়ই ভাইরাল হয়। যেমন, এক ব্যক্তি তার হারিয়ে যাওয়া চাবির জন্য ঘরের দরজা খুলে কাঁধে নিয়ে বাজারে যান! কারণ জিজ্ঞেস করায় তিনি বলেন, তালা খোলার জন্যই এ কাজ করছেন। চোর ঢুকলে কী হবে, এই প্রশ্নে ওই ব্যক্তির পাল্টা উত্তর ছিল, “দরজা তো আমার কাছে, চোর ঢুকবে কী করে?”।

আরেকটি মজার ঘটনা, এক ব্যক্তি ভুল নম্বরে আসা একটি ফোনের রিসিভার থেকে এক অচেনা মেয়ের কান্নার আওয়াজ শোনেন। কাঁদতে কাঁদতে মেয়েটি তার প্রেমিকের কাছে না ঝগড়া করার, কথা শোনার এবং সব মানার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছিল। যদিও এটি একটি ভুল নম্বর ছিল, তবুও সেই ব্যক্তির দাবি, ওই প্রতিশ্রুতি শুনে তার মন ভরে গিয়েছিল।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *