মল যখন পাথরের মতো শক্ত, তখন দুধের সঙ্গে এই ৪টি জিনিস মিশিয়ে খেলে পেট হবে পরিষ্কার, হজমশক্তি হবে তুখোড়!

বদলে যাওয়া জীবনযাত্রা এবং ভুল খাদ্যাভ্যাসের কারণে এখন গ্যাস, অ্যাসিডিটি ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা খুবই সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। অস্বাস্থ্যকর খাবার, কম জল পান করা, পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার বা আঁশের অভাব, অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার এবং একটানা বসে কাজ করার কারণে পেট ঠিকমতো পরিষ্কার হয় না এবং মল শক্ত হয়ে যায়।

এমন পরিস্থিতিতে মলত্যাগের সময় মলাশয়ে ব্যথা হতে পারে, এমনকি রক্তও পড়তে পারে। সময়মতো এর সমাধান না করলে পাইলসের মতো গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, পেট পরিষ্কার না হলে শারীরিক অস্বস্তির পাশাপাশি মানসিক চাপও বাড়ে। এর কারণে ক্রমাগত ক্লান্তি, মাথাব্যথা, খিটখিটে মেজাজ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। যদিও বাজারে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ পাওয়া যায়, যা সাময়িকভাবে স্বস্তি দেয়, তবে সেগুলো শরীরের স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে পারে। তাই আজও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সমাধানের জন্য ঘরোয়া প্রতিকার সবচেয়ে কার্যকর বলে বিবেচিত হয়।

চিকিৎসাশাস্ত্রীয় গবেষণা অনুযায়ী, হজম সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে খাদ্য ও জীবনযাত্রার প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া খুবই জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন ৫টি ঘরোয়া প্রতিকারের কথা, যা পেটকে সুস্থ ও হালকা রাখতে খুবই সহায়ক হতে পারে।

রাতে ঘুমানোর আগে এক কাপ গরম দুধে এক চামচ ঘি মিশিয়ে খেলে পেট সহজে পরিষ্কার হয়। ঘি মলকে নরম করে এবং অন্ত্রের মধ্যে ঘর্ষণ কমায়। দুধ ও ঘিয়ের এই মিশ্রণ সকালে মলত্যাগ সহজ করে এবং গ্যাস তৈরি হতে বাধা দেয়। নিয়মিত এই মিশ্রণ খেলে হজমশক্তি ভালো থাকে এবং দীর্ঘমেয়াদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে যায়।

খেজুর প্রাকৃতিকভাবে মল নরম করতে কার্যকর। খেজুরে সরবিটল নামক একটি শর্করা থাকে, যা অন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়ায়। যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন, তারা দিনে ২ থেকে ৫টি খেজুর খেতে পারেন। সকালে খালি পেটে খেজুর খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়। নিয়মিত খেজুর খেলে হজমতন্ত্র সুস্থ থাকে।

হজম ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় যারা ভুগছেন, তাদের লবঙ্গ দেওয়া দুধ পান করা উচিত। লবঙ্গ দুধ হজমের জন্য বেশ কার্যকর হতে পারে। লবঙ্গ দুধ তৈরি করতে একটি প্যানে এক গ্লাস দুধ ও দুটি লবঙ্গ দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এরপর দুধ ছেঁকে নিয়ে হালকা ঠান্ডা করে পান করুন। এই দুধ পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য ও হজম সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণায় দেখা গেছে, লিভার সুস্থ রাখতে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ ও ভিটামিন ডি থাকা জরুরি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *