দেরি করে খাওয়া ও দ্রুত কাজে যাওয়া! শহরের যুবকদের মানসিক স্বাস্থ্য যেভাবে ভেঙে পড়ছে জানুন

শহুরে জীবনযাত্রায় দেরিতে রাতের খাবার খাওয়া এবং সকালে দ্রুত কাজে বের হওয়ার অভ্যাস যুবক ও প্রাপ্তবয়স্কদের মানসিক স্বাস্থ্যে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অনিয়মিত জীবনধারা শরীরের ‘জৈবিক ঘড়ি’ বা সার্কেডিয়ান রিদমকে ব্যাহত করছে, যার ফলে ঘুমের গুণমান কমছে। অপর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং এই ধরনের দৈনন্দিন চাপ বাড়িয়ে তুলছে মানসিক সমস্যা—যেমন গুরুতর মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও বিষণ্নতার ঝুঁকি। এই সমস্যা শুধু শারীরিক ক্লান্তি নয়, বরং মনোযোগের অভাব, মানসিক অস্থিরতা এবং সামাজিক জীবনেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
গবেষণা অনুযায়ী, খাদ্যের সময় এবং ঘুমের চক্রের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় না থাকলে দীর্ঘমেয়াদে মানসিক ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মানসিক স্বাস্থ্যকে সুরক্ষিত রাখতে ঘুমের কমপক্ষে তিন ঘণ্টা আগে রাতের খাবার শেষ করার, প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমোতে যাওয়া ও ওঠার এবং ডিজিটাল ডিভাইস সীমিত করার পরামর্শ দিচ্ছেন। নিয়মিত ব্যায়াম এবং ধ্যানকেও মানসিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও পর্যাপ্ত ঘুম মানসিক স্বাস্থ্যের এই সংকট মোকাবিলায় প্রধান হাতিয়ার।